প্রকাশিত: ২৫/০৪/২০১৭ ৭:৪১ এএম

নিউজ ডেস্ক::
আগামী একাদশ জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। নির্বাচন নির্ধারিত সময়ের কয়েকমাস আগেই হতে পারে বলে দলটির হাইকমান্ড নিশ্চিতও করেছেন। আগামী নির্বাচনে জয়ী হতে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে সব ধরণের প্রস্তুতি নিয়ে কাজ শুরু করা হয়েছে। এমনকি দলের সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‍গুরুত্বপূর্ণ জেলাগুলোতে সফর শুরু করেছেন। তবে আগামী একাদশ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বঞ্চিত হতে পারেন বর্তমান দশম সংসদের সরকারদলীয় কমপক্ষে ৮০ জন এমপি। গোয়েন্দা সংস্থা ও আওয়ামী লীগের নির্বাচনী বোর্ড সূত্রে এ বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে।নির্বাচনী প্রচারণার অংশ হিসাবেই শেখ হাসিনা আগামী ৪ মাস ব্যস্ত থাকবেন বলেও জানা গেছে। এছাড়া দলের সাধারণ সম্পাদকও বিবাদমান জেলাগুলোর তৃণমূলকে সংগঠিত কাজ শুরু করেছেন। তবে আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী মনোনয়ন পেতে ইতিমধ্যেই তোড়জোড় শুরু করেছেন কেন্দ্র থেকে শুরু করে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের বিভিন্ন শ্রেণীর নেতা। প্রার্থী বাছাইয়ের কাজও শুরু করেছে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী বোর্ড।আওয়ামী লীগের নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে, দলের বর্তমান সংসদের কমপক্ষে ৮০ জন সদস্য মনোনয়ন লাভে ব্যর্থ হতে পারেন। আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে যে দ্বিতীয় পর্যায়ের মাঠ জরিপ শুরু করেছেন, সেখানে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদনে হেভিওয়েট প্রার্থীসহ ৮০ জনের নামে নানা অভিযোগ উঠে আসছে।এতে বলা হচ্ছে- নানা কারণে এলাকায় আলোচিত-সমালোচিত এইসব মন্ত্রী-এমপিদের মনোনয়ন দেওয়া হলে নির্বাচনী বৈতরণী পার হওয়া কষ্টসাধ্য হবে। এই ৮০ জন মন্ত্রী-এমপিকে ‘ঝুঁকিপূর্ণ প্রার্থী’ হিসেবে চিহ্নিত করে তাদের কারো বিরুদ্ধে এলাকায় জনপ্রিয়তা হ্রাস, জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়া, অনেকের বিরুদ্ধে দখল, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, মাদকব্যবসা, অনৈতিকভাবে বিত্ত-বৈভব গড়ার মতো অভিযোগ আনা হয়েছে। কারো বিরুদ্ধে আনা হয়েছে- সন্ত্রাস ও দলীয় কোন্দল সৃষ্টির অভিযোগ।বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার বাইরেও দেশি-বিদেশি সংস্থার দ্বারা মন্ত্রী-এমপিসহ প্রার্থীদের আমলনামা তুলে আনা হচ্ছে। সংসদের ৩০০টি আসনে আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-এমপি এমনকি সম্ভাব্য প্রার্থীদের নির্বাচনী এলাকা ভিত্তিক অবস্থানও ওঠে এসেছে। অনেক জায়গায় সম্ভাব্য প্রার্থীদের অনেকের ব্যাপারে ইতিবাচক রিপোর্ট যেমন আসছে, অনেকের বিরুদ্ধে আবার নেতিবাচক তথ্যাবলী প্রতিবেদনে উঠে এসেছে। এমনকি আওয়ামী লীগের বাইরে বিএনপি, জাতীয় পার্টি ও সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী যাদের অবস্থান শক্তিশালী তাদের চিত্রও তুলে আনা হচ্ছে।সরকার ও আওয়ামী লীগের মন্ত্রী নেতারা যতই বলছেন, ২০১৯ সালের আগে কোন নির্বাচন নয়; তবুও পর্যবেক্ষক মহল আগামী বছরের শুরু।সূত্রঃ পূর্ব পশ্চিম

পাঠকের মতামত

মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ভল্ট ঘিরে রেখেছে পুলিশ

রাজধানী‌র ধোলাইখা‌লে মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে এ‌নে‌ছে ফায়ার সা‌র্ভিস। আগুন নিয়ন্ত্রণের পর ব্যাংকের ...

‘বাংলাদেশ-মিয়ানমার রাজি থাকা সত্ত্বেও রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন না হওয়ার কারণ খুঁজতে হবে’

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন ...